শরীরের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল কিডনি। শরীর থেকে বর্জ্য ও অতিরিক্ত তরল অপসারণ করতে কিডনির কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। শরীরের মধ্যে জল, লবণ ও খনিজগুলির ভারসাম্য বজায় রাখতে অ্যাসিড অপসারণ করতে সাহায্য করে। শুধু ভারসাম্য বজায় রাখতেই নয়, স্নায়ু, পেশী ও শরীরের টিস্যুগুলি সঠিকভালে কাজ করছে কিনা তারও যত্ন নিতে কিডনির ভূমিকা অনবদ্য।
• ব্যথানাশক ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না। শরীরের কোথাও ব্যথা হলে আমরা যন্ত্রণা উপশম করতে দোকান থেকে ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস কিনে প্রায়ই খাই। তবে এই ধরণের ওষুধগুলি কিডনির জন্য চরম ক্ষতিকর। বিশেষ করে কারোর যদি কিডনির রোগ থাকে। তবে ডাক্তারের সুপারিশ ছাড়া অতিরিক্ত পেইন কিলার না খাওয়াই ভাল।
• আমারা অনেকেই অতিরিক্ত কাঁচা নুন খেয়ে থাকি। কাঁচা নুন কিডনির পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। যে সব খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে সেগুলি রক্তচাপ বাড়ায়। ফলে কিডনির রোগের ঝুঁকি অনেকাংশেই বেড়ে যায়। নুনের পরিবর্তে, আপনি ভেষজ বা মশলা দিয়ে আপনার খাবারের স্বাদের মাত্রা ঠিক করতে পারেন।
• প্রক্রিয়াজাত খাবারও কিডনির পক্ষে সমান ক্ষতিকর। প্রক্রিয়াজাত খাবারে সোডিয়াম ও ফসফরাসের পরিমাণ বেশি থাকে। বেশি মাত্রায় ফসফরাসযুক্ত , প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ কিডনি ও হাড়ের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।
• সর্বদা নিজেকে হাইড্রেট রাখা দরকার কারণ তা কিডনিকে শরীর থেকে সোডিয়াম ও টক্সিন পরিস্কার করতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত জল পান করা কিডনিতে স্টোন এড়াতে সাহায্য করে। কম পরিমাণে জল পান করার প্রয়োজন থাকলে তাঁদের কিডনির সমস্যা রয়েছে। কিডনি সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ৩-৪ লিটার জল পান করা উচিত।
• পর্যাপ্ত ঘুমের দরকার। সার্বিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ভাল ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজন।
• খাবারে অতিরিক্ত চিনি খাওয়াও কিডনির সমস্যার কারণ হতে পারে। অত্যাধিক চিনি গ্রহণের ফলে ওবেসিটির সম্ভাবনা থাকতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। উভয়ের কারণেই কিডনি রোগের কারণ হতে পারে। বিস্কুট, মশলা, সাদা রুটি এড়িয়ে চলুন। এগুলিতে বেশি পরিমাণ শর্করা থাকে।
• ধূমপান করা এড়িয়ে চলুন। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যাঁরা ধূমপান করেন. তাঁদের প্রস্রাবে প্রোটিন থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যা কিডনি নষ্ট হওয়ার লক্ষণ।
• অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান কিডনির পক্ষে প্রচন্ড হানিকারক। প্রতিদিন চার পেগের বেশি অ্যালকোহল পান করলে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়ে যায়।
• নিয়মিত ব্যায়াম কিডনি ভাল রাখতে বিশেষ কার্যকর। খুব বেশি সময় ধরে বসে থাকলে কিডনি রোগের সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিডনির স্বাস্থ্যের পক্ষে একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপের ফলে উচ্চ রক্তচাপ ও উন্নত বিপাক উন্নত হয়। যা কিডনির স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল।
Disclaimer
This story is auto-aggregated by a computer program and has not been created or edited by Dailyhunt Publisher: sportsnscreen